নিরালা তাবলিগ মসজিদ

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৩২ পিএম

খুলনা মহানগরীর নিরালা এলাকায় অবস্থিত একটি তাবলিগ মসজিদকে ঘিরে সম্প্রতি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়।

সাদপন্থীরা ঘোষণা করেছিলেন যে, ১০ দিন জুবায়েরপন্থী কোনো মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন না। এর প্রতিবাদে জুবায়েরপন্থীরা জুমার নামাজ আদায় করার ঘোষণা দিলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। ঝামেলা এড়াতে সশস্ত্র বাহিনী এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে। সাধারণ মুসল্লি ছাড়া সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের কাউকেই মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বেলা ১২ টার দিকে মসজিদের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করা হয়।

নিজামঘাট এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম জানিয়েছেন, মুসল্লিদের বিভাজনের কারণে তাঁরা জুমার নামাজ পড়তে পারেননি। তিনি মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আহসান হাবিব জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। রাত সাড়ে ৬টার দিকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়।

এই ঘটনার পর নিরালা তাবলিগ মসজিদটি খুলনার একটি বিতর্কিত স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মসজিদটির ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে অনেকের মনে উৎকণ্ঠা রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • খুলনার নিরালা তাবলিগ মসজিদে সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে বিরোধের ঘটনা ঘটে।
  • মসজিদটি দিনভর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে ছিল।
  • সাদপন্থীরা ১০ দিন জুবায়েরপন্থীদের মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল।
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নিরালা তাবলিগ মসজিদ

27/12/2024

খুলনায় নিরালা তাবলিগ মসজিদে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

খুলনার নিরালা তাবলিগ মসজিদে সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে বিরোধের ঘটনা ঘটেছে।