নারীর ক্ষমতায়ন (ইংরেজি: Women's empowerment) হল নারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া। ক্ষমতায়নকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তবে মূলত এটি নারীদের নিজেদের জীবন, সমাজ, এবং সম্প্রদায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অর্জনকে বোঝায়। এতে তাদের শিক্ষা, পেশা, এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত, যাতে তারা তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করতে পারে। নারীর ক্ষমতায়ন নারীদের সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং তাদের নিজস্ব মূল্যবোধ বিকাশে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তির দ্বারা সম্পাদিত হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের মূলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন নীতি ও আইন প্রণয়ন করেছেন এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন, যেমন ব্র্যাক, দেশের নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে। অনেক নারী নেতা, কর্মী, ও উদ্যোক্তাও নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
নারী ক্ষমতায়নের প্রধান উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ। শিক্ষার মাধ্যমে নারীরা তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করে এবং তাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি পায়। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাদেরকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়। রাজনৈতিক অংশগ্রহণ তাদেরকে নীতি ও আইন প্রণয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করে।
যদিও বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবুও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে, যেমন লিঙ্গ বৈষম্য, নারী নির্যাতন, এবং সাংস্কৃতিক বাধা। এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য সরকারি, বেসরকারি এবং সামাজিক উদ্যোগগুলির সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।