নাজমুল করিম খান: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্যতা
প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, "নাজমুল করিম খান" নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। তাই, বিভ্রান্তি এড়াতে আমরা দুইজন নাজমুল করিম খান সম্পর্কে আলাদাভাবে আলোচনা করব।
প্রথম নাজমুল করিম খান:
এই ব্যক্তি সমাজবিজ্ঞানী আবুল খায়ের নাজমুল করিমের সাথে সম্পৃক্ত নন। তিনি গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার ছিলেন। বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি কৃষিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়, পরবর্তীতে পুনর্বহাল করা হয় এবং ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান। তার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু।
দ্বিতীয় নাজমুল করিম খান:
এই ব্যক্তি সম্ভবত সমাজবিজ্ঞানী আবুল খায়ের নাজমুল করিম (১ আগস্ট, ১৯২২ - ১৮ নভেম্বর, ১৯৮২)। তিনি একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি সমাজবিজ্ঞানী ছিলেন। ১৯৫৭ সালে ইউনেস্কোর সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ চালুর ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তাঁকে ২০১২ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। তিনি কুমিল্লা জেলার ফাল্গুনকরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (সম্মান) ও এমএ এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মধ্যে "দ্য ডাইনামিক্স অব বাংলাদেশ সোসাইটি" উল্লেখযোগ্য। তিনি ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ইবনে রশীদ ছদ্মনামেও তিনি রচনা করেছেন।
উল্লেখ্য: প্রদত্ত তথ্যে দুই নাজমুল করিম খানের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট নয়। আরো তথ্য পাওয়ার পরে আমরা এই নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ করব।