নয়ন মিয়া: একাধিক ব্যক্তির নাম নিয়ে বিভ্রান্তি
গত কয়েক সপ্তাহে ‘নয়ন মিয়া’ নামে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই নামের মিল থাকার কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই লেখায় আমরা নয়ন মিয়া নামে পরিচিত ব্যক্তিদের ঘটনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরব:
১. রাজশাহীতে পুকুরে উদ্ধারকৃত লাশ:
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল গ্রামে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক এক হিন্দু নয়ন মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী তদন্তে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পেরেছে, লাশটি নয়ন মিয়া (৩৮) নামে একজন মুসলিম ভ্যান চালকের। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক কারণে হয়েছে নাকি হত্যার ফলে তা নিশ্চিত নয়। তবে পুলিশ অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছে।
২. ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ:
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়ন মিয়া (২৫) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন। তার স্ত্রী ও একজন তিন বছরের মেয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাকে বিএনপি-সংশ্লিষ্ট যুবদল কর্মী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নয়ন মিয়া নামের অন্যান্য ব্যক্তি:
উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ছাড়াও নয়ন মিয়া নামে আরও অনেক ব্যক্তি থাকতে পারেন। এখানে উল্লেখিত দুটি ঘটনা নয়ন মিয়া নামের ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ঘটনা বলে ধারণা করা হয়।
উপসংহার:
‘নয়ন মিয়া’ নামটির সাথে জড়িত ঘটনার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সংবাদ প্রচারের আগে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
রাজশাহীতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি নয়ন মিয়ার, তিনি একজন মুসলিম ভ্যান চালক ছিলেন।
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়ন মিয়া মারা গেছেন, তিনি ছিলেন ২৫ বছর বয়সী এক যুবক।
'নয়ন মিয়া' নামের মিল থাকার কারণে বিভ্রান্তি এড়াতে অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন।
নয়ন মিয়া নামে দুজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। একজন রাজশাহীতে, অন্যজন ঢাকায় মারা যান। এই লেখা দুই নয়ন মিয়ার ঘটনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে।
জামায়াতে ইসলামী
আফাজ উদ্দিন (নয়ন মিয়ার পিতা), এমডি ইস্রাফিল পিটু, তৌহিদুল ইসলাম (বাগমারা থানার ওসি), লোকমান হোসেন (ঢাকার নয়ন মিয়ার পিতা), আরসাদুল ইসলাম (ঢাকার নয়ন মিয়ার শ্বশুর), এরশাদুল হক (ঢাকার নয়ন মিয়ার শ্বশুর), আব্দুল মোনায়েম মুন্না (যুবদল নেতা), নুরুল ইসলাম নয়ন (যুবদল নেতা), রেজাউল কবীর পল (যুবদল নেতা), বিল্লাল হোসেন তারেক (যুবদল নেতা), কামরুজ্জামান জুয়েল (যুবদল নেতা), খন্দকার এনামুল হক এনাম (যুবদল নেতা), নুরুল ইসলাম সোহেল (যুবদল নেতা), মোহাম্মদ ফিরোজ আব্দুল্লাহ (যুবদল নেতা), আবু আতিক আল হাসান মিন্টু (যুবদল নেতা), গিয়াস উদ্দিন মামুন (যুবদল নেতা), রুহুল ইসলাম মনি (যুবদল নেতা), সুমন দেওয়ান (যুবদল নেতা), এস এম জাহাঙ্গীর চায়না (যুবদল নেতা), আশরাফুল আলম ফকির লিংকন (যুবদল নেতা), মিজানুর রহমান সুমন (যুবদল নেতা)
রাজশাহী, বাগমারা উপজেলা, মচমইল গ্রাম, ঢাকা, কাঁঠালবাগান, বাংলামোটর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, লালমনিরহাট, আদিতমারী উপজেলা, দক্ষিণ গদ্দা গ্রাম, নয়াপল্টন
নয়ন মিয়া, রাজশাহী, বাগমারা, মচমইল, পুকুরে লাশ উদ্ধার, মাদকাসক্ত, ভ্যান চালক, ঢাকা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, গুলিবিদ্ধ, মৃত্যু, যুবদল, বিএনপি, মিথ্যা তথ্য, গুজব