ঢাকা শহর ধুলাদূষণে আচ্ছন্ন। সুইস বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাতাসের মান ক্রমাগত অবনমিত হচ্ছে, প্রায়শই ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। নগরের সড়ক, খোলা জায়গা ধুলাবালিতে ভরে থাকে। গাড়ি চলাচল, নির্মাণকাজ, ইটভাটা, নিম্নমানের জ্বালানি— সব মিলিয়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এর ফলে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করার কথা বলে, কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ গবেষণায় ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে নির্মাণকাজের ধুলা, ইটভাটার ধোঁয়া এবং যানবাহনের ধোঁয়া চিহ্নিত করা হয়। রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বছরে গড়ে ৫০০ টি নতুন ভবন তৈরি হয়, এবং চলতি মৌসুমে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে, যা আরও ধুলা উৎপন্ন করছে। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাপসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার প্রায় ৭ লাখ গাড়ি দূষণের কারণ। বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, ২০ হাজার ট্রাক বালু, ইট, সিমেন্ট, মাটি ইত্যাদি পরিবহন করে। বিশেষজ্ঞরা ধুলাদূষণ রোধে আইন প্রয়োগ, জনসচেতনতা, যানজট নিরসন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ, আবর্জনা পোড়ানো বন্ধ, সিটি কর্পোরেশনের কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি, ওয়ার্ড কমিশনারের দায়িত্ব বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন।
ধুলাদূষণ
মূল তথ্যাবলী:
- ঢাকায় ধুলাদূষণের মাত্রা ভয়াবহ
- আইকিউএয়ারের তথ্যে উদ্বেগজনক চিত্র
- নির্মাণকাজ, ইটভাটা, যানবাহন— প্রধান দূষণকারী
- শ্বাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি
- দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির ব্যর্থতা
গণমাধ্যমে - ধুলাদূষণ
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
উন্নয়নকাজ ও নির্মাণকাজের ফলে ঢাকার বাতাসে ধুলিকণার মাত্রা বেড়ে গেছে।