রাজউক

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক): ঢাকা শহরের পরিকল্পনা ও উন্নয়নের অগ্রদূত

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উন্নয়ন ও পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু হলো রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই সরকারি সংস্থাটি ঢাকা শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি, আধুনিকায়ন এবং সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর পূর্বনাম ছিল ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি)। ১৯৫৩ সালের টাউন ইম্প্রুভমেন্ট অ্যাক্ট এর আওতায় ১৯৫৬ সালে ডিআইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা ৫৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে এটি ৮৩০ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, নগরায়নের বৃদ্ধির সাথে সাথে ১৯৮৭ সালে 'দ্য টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট' সংশোধন করা হয় এবং ডিআইটি কে রাজউক-এ রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৯১ সালে রাজউকের অধিকৃত এলাকা ১৫২৮ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত হয়। ১৯৯৫ সালে ২০ বছর মেয়াদী ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করে রাজউক। পরে ২০৩৫ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২০ সালে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর রাজউকের এলাকা কমে ১০৯৪ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়ায়।

রাজউক বিল্ডিং কোড লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। তবে অবৈধ উন্নয়ন রোধে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জমি থেকে রাজস্ব আয়ের কারণে কৌশলগত ও পরিকল্পনার কার্যকারিতার সাথে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়ে থাকে। তবে রাজউক ঢাকা শহরের উন্নয়নে অবদান অস্বীকার্য। ভবিষ্যতে এর কার্যক্রম আরও সুষ্ঠু ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের দিকে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাজউক হলো ঢাকা শহরের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
  • ১৯৫৬ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
  • ১৯৮৭ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নামকরণ করা হয়।
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (ডিএমডিপি) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • অবৈধ নির্মাণ ও বিল্ডিং কোড লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।