দৈনিক সংগ্রাম

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
The Daily Sangram
দৈনিক সংগ্রাম

দৈনিক সংগ্রাম: বাংলাদেশের একটি বিতর্কিত দৈনিক

দৈনিক সংগ্রাম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা ভাষার জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র। ১৯৭০ সালের ১৭ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে এই পত্রিকা। এটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং মতাদর্শগতভাবে তাদের পক্ষাবলম্বী হিসেবে পরিচিত। সাইমুম সিরিজের লেখক আবুল আসাদ বর্তমানে পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দৈনিক সংগ্রাম বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংবাদের পাশাপাশি স্থানীয় ও আঞ্চলিক সংবাদ, বিনোদন, ব্যবসা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, ভ্রমণ, চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, মানবাধিকার এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পত্রিকাটি 'ব্রডশিট' আকারে এবং অনলাইন সংস্করণেও পাওয়া যায়।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দৈনিক সংগ্রাম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে কাজ করে এবং স্বাধীনতার বিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। গোলাম আযম ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সহ জামায়াত ও ছাত্রসংঘের অন্যান্য নেতাদের মন্তব্য ও লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হত। আব্দুল কাদের মোল্লা এবং মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, যারা পরবর্তীতে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন, সংগ্রামের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর আব্দুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রকাশিত একটি সংবাদের জেরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামক সংগঠন পত্রিকাটির বড় মগবাজারস্থ কার্যালয় ও ছাপাখানা ভাংচুর করে। এর আগে ২০১৩ সালেও পত্রিকাটির কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি আব্দুল কাদের মোল্লার বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর দৈনিক সংগ্রামের মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল করে, যার ফলে পত্রিকাটি সরকারি বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। তবে, দৈনিক সংগ্রাম এখনও প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করুন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • ঢাকা থেকে প্রকাশিত
  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত
  • আবুল আসাদ সম্পাদক
  • স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতের মুখপত্র হিসেবে কাজ করেছিল
  • মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত
  • ২০১৯ ও ২০১৩ সালে কার্যালয়ে ভাংচুর
  • সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।