দীপক সুমন, পুরো নাম দীপক কুমার গোস্বামী, একজন বাংলাদেশী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা, ডাবিং শিল্পী এবং পরিচালক। তিনি তীরন্দাজ রেপার্টরি নামক বাংলাদেশী থিয়েটারের প্রধান। তিনি মুহতেশেম যুযিল-এ সুলেইমান দ্বিতীয়ের বাংলা ডাবিংয়ের জন্য বেশ পরিচিত। তিনি তালাশ, লাল মোরগের ঝুঁটি সহ অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকের মধ্যে রয়েছে ‘এবং বিদ্যাসাগর’, ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’ ইত্যাদি। তিনি প্লাটফর্ম কমিউনিকেশন্স নামক ডাবিং স্টুডিওরও মালিক। দীপ্ত টিভির জন্য মুহতেশেম যুযিল এবং এসএটিভির জন্য মুহাম্মদ: দ্য ফাইনাল লিগেসির মতো উল্লেখযোগ্য বাংলা ডাবিংয়ের কাজ তিনি পরিচালনা করেছেন। তিনি ২০২৪ সালের বাংলাদেশ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন।
দীপক সুমন ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে এটি মঞ্চস্থ হয়। শিল্পকলা একাডেমিতে হল বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে সাত বছর পর নাটকটি পুনরায় মঞ্চস্থ হয়। ২০১৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ এই নাটক মঞ্চায়নের ঠিক আগমুহূর্তে হলের বরাদ্দ বাতিল করে দেওয়ার ফলে সাত বছর ধরে নাটকটি মঞ্চে আসেনি।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে তীরন্দাজ রেপার্টরি থিয়েটার সুন্দরবন রক্ষায় থিয়েট্রিক্যাল বাহাস ও নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে। কিন্তু শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সেই আয়োজন বাতিল করে দেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে, দীর্ঘ আট বছর পর আবারও শিল্পকলা একাডেমিতে হল বরাদ্দ পেয়েছে তীরন্দাজ।
২০১৬ সালে, দীপক সুমন এবং তার পরিবারের উপর হামলা হয়। এই হামলার বিষয়ে তিনি জানান, বিএনপির স্থানীয় সংরক্ষিত কাউন্সিলর তার বাড়ির সামনের পার্কিংয়ে টাইলস বসানোর কাজে বাধা দিয়ে ভাঙচুর করে।
২০২৩ সালে তিনি 'সহস্র এক রজনী' নামক সিরিজটির বাংলা ডাবিং পরিচালনা করেছেন। এই সিরিজে প্রায় ৯০ জন ডাবিং শিল্পী কাজ করেছেন। তিনি নিজেই সিরিজের প্রধান অভিনেতা হালিত এরগেন্সের কণ্ঠ দিয়েছেন।