কাজী নওশাবা আহমেদ একজন প্রতিভাবান বাংলাদেশী অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পী, চিত্রশিল্পী, পুতুলশিল্পী, পরিচালক এবং সমাজকর্মী। তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করেন এবং শ্যামলীর আদাবরে তার শৈশব কেটেছে। তার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সেলিম উদ্দিন এবং মা নাহিদ সেলিম। তিনি শহীদ আনোয়ার স্কুল ও হলিক্রস স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ড্রইং ও পেইন্টিংয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
নওশাবা ২০০৩ সালে এহসানুর রহমান জিয়ার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০১২ সালে তাদের কন্যা সন্তান প্রকৃতি নাজারিনা আহমেদ বেলা জন্মগ্রহণ করে। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে "উধাও", "ভুবন মাঝি", "ঢাকা অ্যাটাক", "স্বপ্নের ঘর", "ছায়াবৃক্ষ", "কসাই" এবং "ব্যাচ ২০০৩"। তিনি বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, বিবিসি, নেসক্যাফে, ম্যারিডিয়ান চিপস ও টেলিটকের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছেন। সিসিমপুরের ইকরি মিকরি চরিত্রে কণ্ঠদান ও পাপেট পরিচালনার সাথে তিনি ছয় বছর যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে অমিত আশরাফের পরিচালনায় "উধাও" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান।
তিনি ২০১৮ সালে "নিরাপদ সড়ক চাই" আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং পরবর্তীতে জামিন পান। তিনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি "টুগেদার উই ক্যান" নামে একটি থিয়েটার দলও প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২০ সালে মহামারী পরিস্থিতিতে তিনি "আর্ট ফর টুগেদারনেস ২০২০" একটি অভিযানের সাথে যুক্ত ছিলেন।