দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দল, অন্য নামে 'প্রোটিয়াস' নামে পরিচিত, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একজন প্রধান অংশগ্রহণকারী। ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (CSA) দলটির পরিচালনা করে। তারা টেস্ট, ওডিআই এবং টি২০আই ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে। ১৯৯০ এর দশক থেকে, দলটি 'চোকার্স' উপাধি পেয়েছে, কারণ তাদের উচ্চ-মানের শক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।

১৩ নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৭৯ টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ১৩৮টি জয়, ১২৭টি পরাজয় এবং ১১৪টি ড্র রয়েছে। এই একই তারিখ পর্যন্ত, তারা ৪৯৮টি ওডিআই খেলেছে, ৩০৭টি জয়, ১৭২টি পরাজয়, ৬টি ড্র এবং ১৩টি ফলাফলহীন ম্যাচ। ২৮ আগস্ট ২০১২ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট, ওডিআই এবং টি২০আই ক্রিকেটে বিশ্বের ১ নম্বর দলের মর্যাদা অর্জন করে প্রথম দল হিসেবে।

দেশের বর্ণবাদ নীতির কারণে, আইসিসি ১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে, গ্রেইম পোলক, ব্যারি রিচার্ডস, এবং মাইক প্রোক্টরের মতো অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হন। ১৯৯১ সালে, আইসিসি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে বেশ কিছু স্মরণীয় ঘটনা রয়েছে, যার মধ্যে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্টিভ ওয়াহর ক্যাচ ফেলে দেওয়া এবং ২০০৩ বিশ্বকাপে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান সংখ্যা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি উল্লেখযোগ্য। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১৪৯ রানে অল-আউট হয়েছিল, যা বিশ্বকাপে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।

অনেক তারকা খেলোয়াড়ের অবসরের পর, দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করে ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আশওয়েল প্রিন্স ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ অধিনায়ক হন। তবে বর্ণবাদ নীতির প্রভাব এবং বড় টুর্নামেন্ট জিততে ব্যর্থতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি এখনও চোকার্স নামে পরিচিত। তাদের দীর্ঘদিন ধরে বড় টুর্নামেন্টে জয়ের রেকর্ড নেই।

আধুনিক যুগে, দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। তাদের সাম্প্রতিক খেলাগুলিতে উল্লেখযোগ্য জয় এবং পরাজয় রয়েছে, যা দলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ব্যাপারে বিতর্ক সৃষ্টি করে। সাম্প্রতিক ম্যাচ সম্পর্কে আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে আমরা আর্টিকেলটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট, ওডিআই এবং টি২০আই ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে।
  • ১৯৯০ এর দশক থেকে দলটিকে 'চোকার্স' বলা হয় কারণ তারা বড় টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি।
  • ২৮ আগস্ট ২০১২ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট, ওডিআই এবং টি২০আই ক্রিকেটে বিশ্বের ১ নম্বর দল ছিল।
  • ১৯৭০ সালে বর্ণবাদ নীতির কারণে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
  • আশওয়েল প্রিন্স ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ অধিনায়ক হন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল পাকিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হার স্বীকার করেছে।