তোফায়েল হোসেন নামটি একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার সাথে জড়িত। এই লেখা তাদের বিভিন্ন পরিচয় ও ঘটনার বিবরণ দেবে।
তোফায়েল আহমেদ: বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ (জন্ম: ২২ অক্টোবর ১৯৪৩)। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৮-৬৯ সালে ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সহ-সভাপতি ছিলেন এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন ছিলেন। ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ ভোলা জেলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তোফায়েল হোসেন (কুমিল্লা): কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের এক ব্যক্তি তোফায়েল হোসেন (৫০)। তিনি সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ভাতিজা এবং চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। ২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রামে আট বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগেও মামলা রয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তোফাজ্জল হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি তোফাজ্জল হোসেন, যাকে ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেরে ফেলে। তাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করা হয় এবং পরে নির্মমভাবে মারধর করা হয়, যার ফলে তার মৃত্যু হয়। তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।
তোফায়েল আহমেদ (বীর মুক্তিযোদ্ধা): একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ (মৃত্যু: ২০০২)। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।