তামাক সেবন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাংলাদেশে তামাক সেবন জনিত মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক। সরকার তামাক পণ্যের বিক্রি থেকে যে রাজস্ব পায় তার চেয়ে তামাকজনিত ক্ষতি অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিগারেটে কর আরোপের ক্ষেত্রে রাজস্ব নয়, জনস্বাস্থ্যই প্রধান বিবেচ্য। গত ২৩ ডিসেম্বর, রাজধানীর সামরিক জাদুঘরে ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটে কার্যকর করারোপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। উন্নয়ন সমন্বয় নামক বেসরকারি গবেষণা সংস্থার আয়োজনে এনবিআর, অর্থনীতিবিদ, তামাকবিরোধী গবেষক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিআইডিএসের ড. এসএম জুলফিকার আলী সভাপতিত্ব করেন। বিশেষজ্ঞরা সিগারেটে যথাযথ কর আরোপ না করার ফলে সরকার বছরে ৬৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল তামাক শিল্পকে দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বলে উল্লেখ করেন এবং কর আরোপে আপোষহীন হওয়ার আহ্বান জানান। ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কার্যকর কর আরোপের মাধ্যমে সরকার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে। উন্নয়ন সমন্বয় ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ সময়ে ৬৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারানোর কথা উল্লেখ করে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি এবং স্তর কমিয়ে ৩ তে নামিয়ে আনার দাবি জানায়। এনবিআর কর আরোপের প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্যের দিকেও দৃষ্টি রাখার কথা জানায়। তামাক নিয়ন্ত্রণে রাজস্ব আদায়কে প্রাধান্য দেওয়া হলে হিতে বিপরীত হবে বলেও মতামত প্রকাশ করা হয়। কিশোরদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বৃদ্ধির দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং কমপক্ষে ১০% হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • তামাক সেবন বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ
  • তামাকের চেয়ে তামাকজনিত ক্ষতি অনেক বেশি
  • সিগারেটে কর আরোপে জনস্বাস্থ্যই প্রধান
  • সরকার বছরে ৬৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে
  • সিগারেটের দাম বৃদ্ধি ও স্তর কমানোর দাবি

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - তামাক সেবন

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই সেমিনারে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর হার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।