উন্নয়ন সমন্বয়: তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
গতকাল সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, রাজধানীর সামরিক জাদুঘরের সেমিনার হলে ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটে কার্যকর করারোপ’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে এই সেমিনারে তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব এবং সিগারেটে কার্যকর কর আরোপের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
সেমিনারে উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়, যেখানে বলা হয় ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ সময়কালে সিগারেটে কার্যকর করারোপ না করার ফলে সরকার প্রতিবছর গড়ে ৬,৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সিগারেটের দাম বৃদ্ধি এবং বাজারে বিক্রি হওয়া সিগারেটের স্তর কমানোরও দাবি জানিয়েছে। চলতি অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে বেশি হারে সিগারেটের দাম বৃদ্ধিরও প্রস্তাব দেওয়া হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), অর্থনীতিবিদ, তামাকবিরোধী গবেষক ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন। বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. এসএম জুলফিকার আলী সভাপতিত্ব করেন এবং বিআইডিএসের প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল প্রধান অতিথি ছিলেন। এনবিআর কর্মকর্তারা করারোপের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও জনস্বাস্থ্যের দিকটিও বিবেচনায় রাখার কথা উল্লেখ করেন। অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক সিগারেটে যথাযথ করারোপের মাধ্যমে সরকার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি দুটোই অর্জন করতে পারে বলে মন্তব্য করেন। উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী সিগারেটে করারোপের ফলে কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা অমূলক বলে মন্তব্য করেন।