ডাঙ্গাপাড়া

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

ডাঙ্গাপাড়া নামটি একাধিক স্থান ও প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, এটি দুটি প্রধান প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে:

১. রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম:

এই গ্রামটি তারাগঞ্জ উপজেলার অধীনে একটি উল্লেখযোগ্য গ্রাম। ২০০৩ সালে সাদেকা আক্তার নামে এক নারীর উদ্যোগে গ্রামে ‘বেগম রোকেয়া মহীয়সী নারী মহিলা উন্নয়ন সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সমিতি নারীদের সেলাই ও কারচুপির কাজের প্রশিক্ষণ প্রদান করে, গরু মোটাতাজাকরণ, ফসল চাষাবাদ ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি যেমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, রাস্তা পাকাকরণ, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রভৃতির মাধ্যমে এই গ্রামের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামটিতে একটি সরকারি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রামবাসী বিভিন্ন সরকারি সেবা পাচ্ছে। গ্রামের অধিকাংশ শিশু বিদ্যালয়ে যায় এবং বাল্যবিবাহ প্রায় বন্ধ। গ্রামের অর্থনীতিতে কৃষিকাজ, কুটির শিল্প ও হস্তশিল্প প্রধান ভূমিকা পালন করে।

২. নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম:

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে অবস্থিত ডাঙ্গাপাড়া গ্রামটি শীতকালীন কম্বল বিতরণ কর্মসূচীর আওতায় ছিল। এখানে ২০১৯ সালে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে দুস্থ মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।

৩. দিনাজপুরের ডাঙ্গাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন:

দিনাজপুর জেলার একটি ছোট রেলওয়ে স্টেশন যা ডাঙ্গাপাড়া নামে পরিচিত। এই স্টেশন দিয়ে কিছু ট্রেন চলাচল করে। তবে এই ডাঙ্গাপাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ নয়।

৪. জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়:

মহাদেবপুর উপজেলায় অবস্থিত এই উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি এলাকার একটি প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও অন্যান্য ডাঙ্গাপাড়ার সম্পর্কে যদি আরও তথ্য পাওয়া যায়, আমরা আপনাকে পরবর্তীতে জানাব।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে বেগম রোকেয়া মহিলা উন্নয়ন সমিতির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বীকরণ
  • সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের উন্নতি
  • নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে শীতকালীন কম্বল বিতরণ
  • দিনাজপুরের ডাঙ্গাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
  • মহাদেবপুরের জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।