ডা. সাবরিনা: একাধিক পরিচয়ের অধিকারী একজন ব্যক্তি
এই লেখায় আমরা ডা. সাবরিনা নামের একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে আলোচনা করবো, যাতে তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়। প্রদত্ত তথ্য থেকে বোঝা যায়, ডা. সাবরিনা নামের অন্তত দুইজন ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম ব্যক্তি জেকেজি হেলথকেয়ারের সাথে যুক্ত এবং করোনা পরীক্ষার জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি একজন অভিনেত্রী, যিনি ১৫ বছর পর আবারও অভিনয়ে ফিরেছেন।
প্রথম ডা. সাবরিনা (জেকেজি হেলথকেয়ার):
এই ডা. সাবরিনা জেকেজি হেলথকেয়ার নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২০ সালে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ২০২২ সালের ১৯ জুলাই তাকে ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চাকরিচ্যুত চিকিৎসক ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন। তার স্বামী আরিফুল চৌধুরী জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও ছিলেন। মামলার অন্যান্য আসামীদের মধ্যে আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও রয়েছেন। জালিয়াতির ঘটনায় ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের উপর অভিযান চালানো হয়। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের অবস্থায় রয়েছে।
দ্বিতীয় ডা. সাবরিনা (অভিনেত্রী):
এই ডা. সাবরিনা একজন অভিনেত্রী। ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, তিনি ১৫ বছর পর ‘অভিমানে তুমি’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এই নাটকে তার সহশিল্পী হিসেবে ফজলুর রহমান বাবু অভিনয় করেছেন এবং এসকে শুভ নাটকটি পরিচালনা করেছেন। তিনি ২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন, কিন্তু পরে জামিনে মুক্তি পান।
তথ্যের অভাব: প্রদত্ত তথ্যে ডা. সাবরিনাদের ব্যক্তিগত জীবন, বয়স, জাতিগত পরিচয়, এবং অন্যান্য বিষয়ের সম্পূর্ণ তথ্য নেই। আমরা আপনাকে তথ্য স্পষ্ট হলেই আরও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পারবো।