জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট (National Institute of Cardiovascular Diseases, NICVD): বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসার এক অগ্রণী প্রতিষ্ঠান
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল যা ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এই ইনস্টিটিউটটি হৃদরোগীদের সকল ধরণের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। প্রাথমিক থেকে তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবা এখানে পাওয়া যায়।
এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশে আধুনিক হৃদরোগ চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইনস্টিটিউটটি দেশের হৃদরোগ চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। জুলাই ১৯৮৮ সালে ইনস্টিটিউটটিতে পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল কোর্স চালু হয়। বর্তমানে, এটি একটি ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং এখানে হৃদরোগের সকল আধুনিক পরীক্ষা এবং চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে। এমডি (কার্ডিওলজি), এমএস (কার্ডিওভাস্কুলার ও থোরাসিক সার্জারি) এবং ডি. কার্ড (ডিপ্লোমা ইন কার্ডিওলজি) সহ বিভিন্ন স্নাতকোত্তর কোর্সের মাধ্যমে চিকিৎসক, নার্স এবং প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অক্টোবর ২০১৬ সালে, হাসপাতাল কর্মীদের ঘুষ দিতে অস্বীকার করায়, একজন ঠিকাদারকে হাসপাতালের নিওনেটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে অক্সিজেন টিউব ইনস্টল করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দূরবর্তী রোবটিক স্টেন্ট প্লেসমেন্ট সার্জারি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট দেশের হৃদরোগ চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। তবে, ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপের কারণে হাসপাতালে বিছানার সংকট দেখা দিয়েছে, অনেক সময় রোগীদের মাটিতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।