ব্রিটিশ সংসদ সদস্যা ড. রুপা হক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন
ব্রিটিশ বাংলাদেশি সংসদ সদস্যা ড. রুপা হক বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে দেশে এসেছেন। ৫২ বছর বয়সী রুপা হক রাজনীতিতে আসার পূর্বে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন এবং কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল এবং অ্যাক্টন আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং বর্তমান সংসদে গণমাধ্যম বিষয়ক কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. রুপা হক বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নিজের চোখে সেই পরিবর্তনগুলো দেখতে চাই। বাংলাদেশে এখন সংসদ নেই। আমি একজন সংসদ সদস্য হিসেবে প্রকৃত গণতন্ত্র দেখতে চাই।' তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ব্রিটিশ সংসদে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের যেকোনো দুর্ঘটনার সময় নিজের স্বতন্ত্র ও চোখে পড়ার মতো অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে আগত মোহাম্মদ হক এবং রওশন আরা হকের তিন কন্যার মধ্যে বড়। তার বাবা-মা সত্তর দশকে ব্রিটেনে আসেন এবং তার বাবার বাড়ি পাবনা শহরের কুঠিপাড়ায়। তিনি সরল ও বিনয়ী আচরণের জন্য তুমুল জনপ্রিয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ড. রুপা হক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এ সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ড. ইউনূস ড. রুপা হককে আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তিনি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন।
ড. রুপা হকের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর ও তার সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলিতে তার আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব থাকায় এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আমরা যখন আরও তথ্য পাব, তখন আপনাকে অবগত করা হবে।