ড. এ. কে. এম ফারুক

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
নামান্তরে:
ড এ কে এম ফারুক
ড. এ. কে. এম ফারুক

ড. এ. কে. এম. ফারুক নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই লেখাটিতে আমরা দুটি উল্লেখযোগ্য ড. এ. কে. এম. ফারুক সম্পর্কে আলোচনা করব।

প্রথম ড. এ. কে. এম. ফারুক: একজন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং সেনা চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ১৯৪৪ সালের ১৭ মে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বসন্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬৯ সালে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে কুমিল্লা (ময়নামতি) সেনানিবাসে ৪০ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সে কর্মরত ছিলেন। ২৫শে মার্চের পর যুদ্ধে যোগদানের সুযোগ খুঁজে পাননি। ৩০শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাদের দ্বারা অপহরণ এবং পরবর্তীতে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী মনোয়ারা ফারুকের লেখা থেকে এই তথ্য জানা যায়। তিনি দুই ছেলে, এ. কে. এম. তারেক এবং এ. কে. এম. আরিফের জনক ছিলেন। কুমিল্লা সেনানিবাসের ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ইউনিট, ঢাকা সেনানিবাসের স্টাফ রোড তোরণ ও সরকারি মেডিকেল কলেজের স্মৃতিফলকে তাঁর নাম রয়েছে।

দ্বিতীয় ড. এ. কে. এম. ফারুক: ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি সমিতির ৬০ বছরের অধিক ইতিহাস ও অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি সম্প্রতি সমিতির সম্ভাব্য বিভাজন এবং নেতৃত্বকে বিতর্কিত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তার পেশা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য লেখাটিতে উল্লেখ করা হয়নি।

উভয় ড. এ. কে. এম. ফারুকের সম্পর্কে আরও তথ্য সন্ধানের জন্য অতিরিক্ত গবেষণা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক ড. এ. কে. এম. ফারুক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হন।
  • তিনি কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।
  • বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. এ. কে. এম. ফারুক সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন।
  • দুইজন ড. এ. কে. এম. ফারুক সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ড এ কে এম ফারুক

ড. এ. কে. এম ফারুক বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অবৈধ কমিটি ঘোষণার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।