টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি অধিকার সংস্থা যা বিশ্বের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল অধিকার সুরক্ষা এবং প্রযুক্তি নকশা, প্রকাশ এবং শাসন ব্যবস্থায় তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণের জন্য কাজ করে। প্রযুক্তির অসম বিকাশে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবধানকে আরও প্রশস্ত করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে অযাচিত ক্ষতির সৃষ্টি করেছে বলে তাদের বিশ্বাস। তাদের ধারণা, সুষ্ঠু ও সুগম্য প্রযুক্তি, বিশেষ করে ইন্টারনেট, তখনই সমাজের জন্য উপকারী হবে যখন তা সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে।
সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সাথে সহযোগিতা করে প্রযুক্তি ব্যবস্থার তদন্ত, আইন পর্যালোচনা, স্টেকহোল্ডারদের সাথে যোগাযোগ এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সম্মুখীন প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগত সমাধান তৈরি করে। টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের দলের মধ্যে রয়েছেন ট্রাস্ট ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, নীতি ও আইনি বিশেষজ্ঞ, পণ্য ব্যবস্থাপক, সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজ কর্মী, যারা দীর্ঘ বছর ধরে শিল্প, সরকার অথবা মানবাধিকার সংগঠনে কাজ করে আসছেন। তাদের কাজের মূলমন্ত্র হলো স্বচ্ছতা, সততা, ন্যায্যতা, অন্তর্ভুক্তি এবং জবাবদিহিতা।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তারা দুই সপ্তাহ অন্তর একটি নিউজলেটার প্রকাশ করছে, যা গ্লোবাল সাউথের প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের ঘটনাবলী, এর গুরুত্ব এবং তাতে কী করা যায়, সে সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। তারা নীতি পরামর্শের সুযোগে সহযোগিতার জন্যও আহ্বান জানায়।
বাংলাদেশে, টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ডিজিটাল আইন সংস্কার ও মানবাধিকার সুরক্ষা বিষয়ক ওয়েবিনার আয়োজন করেছে। এই ওয়েবিনারে বাংলাদেশের ডিজিটাল আইন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে বিভিন্ন আইনের পর্যালোচনা ও সংস্কারের সুপারিশ করা হয়। ওয়েবিনারে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশিদ দিয়া সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। ওয়েবিনারে মানবাধিকার রক্ষার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল আইন সংস্কারের উপর জোর দেওয়া হয়।