২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪, বিকাল ৩ টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।
এই ঘোষণাপত্রে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হবে, যার মধ্যে জুলাই মাসের গণ অভ্যুত্থানের জনআন্দোলনের চেতনা ও জনমতের প্রতিফলন স্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হবে। ঘোষণাপত্রে জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্য, আদর্শ, ও লক্ষ্য ব্যাখ্যা করা হবে। এছাড়াও, এই বিপ্লবের কারণ, প্রক্রিয়া, এবং তার পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা ঘোষণাপত্র প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, এবং গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সাথে আলোচনা করে ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত করছেন। সম্ভবত এই ঘোষণাপত্রে বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও পরিকল্পনা উল্লেখ থাকবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, এবং সারজিস আলমসহ অনেক নেতা এই ঘোষণাপত্রের সাথে জড়িত। সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এই আন্দোলনের সাথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এই ঘোষণাপত্রকে জুলাই অভ্যুত্থানের এক ঐতিহাসিক ঘোষণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।