গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল): বাংলাদেশের জাতীয় গ্যাস পরিবহন ব্যবস্থার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৮৭ সালে কুপার্স এবং লিব্রান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর্তৃক প্রস্তাবিত পরামর্শের ভিত্তিতে জাতীয় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী গঠনের ধারণা আসে। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংকের গবেষণা এবং দাতা সংস্থার সুপারিশের ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে কোম্পানি আইন-১৯৯৩ এর অধীনে জিটিসিএল নিবন্ধিত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ১০০০ কোটি টাকা এবং মোট শেয়ার সংখ্যা ১০০০০০০০। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জিটিসিএল ২,১৭৬.৯০ কোটি ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১০.৯৭% কম। এছাড়াও, ১,৬৪৬.০২ লক্ষ লিটার কনডেনসেট পরিবহন করে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৩৪.৬২% কম। জিটিসিএল উত্তর-দক্ষিণ গ্যাস ও কনডেনসেট পাইপলাইন পরিচালনা করে এবং ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের আশুগঞ্জ-বখরাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন বাস্তবায়ন করেছে। কোম্পানিটি স্কাডা সিস্টেমের মাধ্যমে পাইপলাইনে গ্যাসের তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ ও সংগ্রহ করে। আশুগঞ্জ ও এলেঙ্গা কম্প্রেসর স্টেশন গ্যাস সঞ্চালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহেশখালীর এফএসআরইউ থেকে আমদানিকৃত আরএলএনজিও জিটিসিএল জাতীয় গ্যাস গ্রিডে সঞ্চালন করে। জিটিসিএল-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোট সংখ্যা ৬৫৬, যার মধ্যে কর্মকর্তা ৫২৫ এবং কর্মচারী ১৩১ জন। কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। জিটিসিএল-এর ওয়েবসাইট gtcl.gov.bd।
জিটিসিএল
আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ২:০৩ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত
- বাংলাদেশে গ্যাস সঞ্চালনের জন্য দায়ী
- সরকারি মালিকানাধীন
- আশুগঞ্জ-বখরাবাদ পাইপলাইন সহ অন্যান্য গ্যাস পাইপলাইন পরিচালনা করে
- জাতীয় গ্যাস গ্রিডের অংশ
- প্রধান কার্যালয় ঢাকায়
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।