জিএসসিআই

বাংলাদেশের জিএসসিআই সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি

বৈশ্বিক টেকসই প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা সূচক (জিএসসিআই) ২০২৪ এ বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১১৬তম, যা গত বছরের তুলনায় ১৪ ধাপ এগিয়ে। চলতি বছর বাংলাদেশ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০.৫৫ স্কোর অর্জন করেছে, যেখানে ২০২৩ সালে ছিল ৩৯.৬ স্কোর এবং অবস্থান ছিল ১৩০তম। সুইডেন এ বছরও শীর্ষে রয়েছে ৬১.২২ স্কোর নিয়ে, অন্যদিকে সোমালিয়া ৩০.৭৫ স্কোর নিয়ে তালিকার সর্বনিম্নে রয়েছে।

জিএসসিআই সূচকটি সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সোলাবিলিটি ২০১২ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে। এই সূচক তৈরির জন্য একটি দেশের ১৯০টি পরিমাণগত মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়, যা ছয়টি দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভক্ত: ন্যাচারাল ক্যাপিটাল, রিসোর্স ইফিসিয়েন্সি, সোশাল ক্যাপিটাল, ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন, ইকোনমিক সাস্টেনবিলিটি এবং গভর্নেন্স পারফরম্যান্স।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, রিসোর্স ইফিসিয়েন্সি সূচকে ৫০.৮৫ স্কোর নিয়ে ৪৫তম অবস্থান অর্জন করেছে, যা ২০২৩ সালের ৯২তম অবস্থানের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি। অন্যদিকে, ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন সূচকে বাংলাদেশের স্কোর সবচেয়ে কম (২৬.২৮), যার ফলে ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। ন্যাচারাল ক্যাপিটাল সূচকে ৩৮.৬৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম। সোশাল ক্যাপিটাল সূচকে ৪৪.৯১ স্কোর নিয়ে ৬৬তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, এবং ইকোনমিক সাস্টেনবিলিটি সূচকে ৪০.১৬ স্কোর নিয়ে ১১৫তম অবস্থানে। গভর্নেন্স পারফরম্যান্স সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩২তম। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার তথ্য ব্যবহার করে এই সূচক তৈরি করা হয়। জিএসসিআই সূচক একটি দেশের জিডিপির বিকল্প মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশ জিএসসিআই সূচকে ১৪ ধাপ এগিয়েছে।
  • ১৯১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৬তম।
  • রিসোর্স ইফিসিয়েন্সি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৫তম।
  • ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম।
  • জিএসসিআই সূচক সোলাবিলিটি প্রতিষ্ঠান প্রকাশ করে।