চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ভয়াবহ জাহাজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নড়েচড়ে উঠেছে সারাদেশ। ২৩ ডিসেম্বর, সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা নদীর ঈশানবালা খাল এলাকায় নোঙর করা ‘এমভি আল-বাখেরা’ নামক একটি সারবাহী জাহাজে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজন জাহাজ শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং আরও তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের মধ্যে ফরিদপুরের জুয়েল (৩৫) নামের একজনকে ঢাকা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজে ডাকাতির চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহত জাহাজ শ্রমিকদের মধ্যে জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল এবং মাজেদুল ইসলাম রয়েছেন। আহত জুয়েলের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, তারা মোট ৮ জন ছিলেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, সবাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জুয়েলের শ্বাসনালী কাটা থাকা সত্ত্বেও তিনি শ্বাস নিতে পারায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এ কে এম ইকবাল জানান, জুয়েল লিখতে লিখতে অচেতন হয়ে পড়ে। তিনি কাগজে তার নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে যেতে পেরেছিলেন।
ঘটনার পর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আশ্বাস দেন। এই নৃশংস ঘটনায় জাহাজ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নৌ পুলিশ ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।