চট্টগ্রাম নগরীর ২১ নং ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত জামালখান ০.৭৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এখানকার জনসংখ্যা ছিল ৪০,০১৪ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২০,৪৬৮ জন এবং মহিলা ১৯,৫৪৬ জন। ৭ বছর বা তার বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ছিল ৭৮.৯%, যা জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। জামালখান ওয়ার্ড চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোতোয়ালী থানার আওতায় পড়ে। এই ওয়ার্ডের অবস্থান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রে। এর পূর্বে দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড, উত্তরে চকবাজার ও বাগমনিরাম ওয়ার্ড, পশ্চিমে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড এবং দক্ষিণে এনায়েত বাজার ও আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড অবস্থিত।
জামালখান ওয়ার্ডের ইতিহাস সমৃদ্ধ। এখানে অবস্থিত হরিখোলা মাঠে ১৯৫১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সংস্কৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ওয়ার্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি ফাজিল মাদ্রাসা, ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা জামালখান ওয়ার্ডকে গতিশীল করে তুলেছে। এছাড়াও, জামালখানে উল্লেখযোগ্য কিছু ব্যক্তি, যেমন মাস্টারদা সূর্য সেন এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা, যেমন আসকর দীঘি, রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জামালখান ওয়ার্ডে উন্নয়নের কাজ ব্যাপকভাবে হচ্ছে। কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এর নেতৃত্বে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে খাস্তগীর স্কুলের দেওয়ালে ইতিহাসের চিত্রকর্ম, সড়ক বিভাজক ও ডাস্টবিনের জায়গায় সবুজায়ন, এবং ওয়াইফাই জোন স্থাপন। আসকর দীঘিকে ওয়াটার পার্ক হিসেবে গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে। জামালখানের উন্নয়নমূলক কাজগুলো এটিকে আরও আধুনিক ও সুন্দর করে তুলছে। তবে, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও ব্যক্তিদের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য আরও কাজের প্রয়োজন আছে।