জাতীয় শোক দিবস

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:২৪ এএম

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার দিন। এই দিনে স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অনেক সদস্য নির্মমভাবে হত্যা হন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট 'জাতীয় শোক দিবস' পালিত হত। তবে, ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার এই দিবসটির সাধারণ ছুটি বাতিল করে এবং জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।

১৫ আগস্টের রাতে, ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তাদের পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ, ভাই, ভগ্নিপতিসহ আরও ১৬ জনকে হত্যা করে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে জাতি এক গভীর শোকে নিমজ্জিত হয়।

১৯৯৬ সালে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দিবসটির পালন বাতিল করা হয়। তবে আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকরা দিবসটি পালন অব্যাহত রাখে এবং ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করে।

জাতীয় শোক দিবসে সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখত এবং বিভিন্ন শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হত। তবে, ২০২৪ সালের পর থেকে এ দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে আর পালিত হয় না।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা
  • ১৯৯৬ সালে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা
  • ২০০১ সালে শোক দিবসের সরকারি স্বীকৃতি বাতিল
  • ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিবসটিতে ছুটি ঘোষণা
  • ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিল ও জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।