চোত্তাখোলা

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৯ পিএম

ত্রিপুরার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় অবস্থিত চোত্তাখোলা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিকট অবস্থিত এই স্থানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য চোত্তাখোলা একটি কেন্দ্রীয় বেস ক্যাম্প হিসেবে কাজ করেছিল। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানটিতে ৭ টি টিলা ও একটি প্রাকৃতিক হ্রদ রয়েছে। ১৯৭১ সালে এখানে বেশ কয়েকটি বাংকার ও পরিখা নির্মিত হয়েছিল, যার ধ্বংসাবশেষ এখনও দেখা যায়। তৎকালীন ফেনীর আওয়ামী লীগ নেতা খাজা আহমেদ এখানে ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন এবং অনেক শরণার্থীকে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরাবাসীর অবদানকে স্মরণ রাখার জন্য, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার উদ্যানটি উদ্বোধন করেন। এই উদ্যানটিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বিভিন্ন মূর্তি, স্মৃতিসৌধ, জাদুঘর, এবং বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান নির্মিত হয়েছে। চোত্তাখোলা মৈত্রী উদ্যান বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও স্মরণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই উদ্যানটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবেও পরিচিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল চোত্তাখোলা।
  • আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই স্থানটি থেকে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল।
  • চোত্তাখোলায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করার জন্য।
  • এই উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, জাদুঘর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।