চেয়ারম্যানের ছেলেদের নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা ও তাদের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা:
এই প্রবন্ধে আমরা বিভিন্ন ঘটনার সূত্র ধরে চেয়ারম্যানের ছেলেদের কিছু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তুলে ধরব। একটি ঘটনায় উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার তৃণমূল ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মহত্যার ঘটনা উঠে আসে। তার ছেলে সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য অনুসারে, কিছু লোক তার বাবাকে মানসিক চাপ ও অর্থনৈতিকভাবে হয়রানি করতো, যার ফলে তিনি আত্মহত্যা করেন।
আরেকটি ঘটনায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুকে হত্যার ঘটনায় তার ছেলে আহসান হাবীব কনক থানায় মামলা করেন। এই মামলায় দশজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও একটি ঘটনায় জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুর ছেলে রিফাতের নাম জড়িত থাকে। হামলায় নাদিমের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিনের কাণ্ডের কথাও এই প্রবন্ধে উঠে আসে। ছাত্র-জনতার প্রতিবাদে গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
শেষ ঘটনায় যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী মোজাহিদুল ইসলাম পান্না একটি পরিত্যক্ত ভবন কম দামে কিনে নেয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে অভিযোগও করেন।
এই ঘটনাগুলি থেকে বোঝা যায় যে চেয়ারম্যানের ছেলেদের ক্ষমতার অপব্যবহার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার ঘটনা বিরল নয়। তবে এসব ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।