চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চালু হয়েছে, নগরীর যানজট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৭ সালে অনুমোদিত হলেও, বিভিন্ন কারণে নির্মাণ কাজে বিলম্ব হয় এবং ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পের শুরুতে এর নামকরণ করা হয়েছিলো প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে। কিন্তু পরবর্তীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম শহীদ চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম আকরামের নামে নামকরণ করা হয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বর্তমানে মোটরসাইকেল ছাড়া ১০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং চীনের র্যাংকিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রয়াস ছিল। প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০টি র্যাম্প নির্মাণের কথা থাকলেও বর্তমানে ৯ টি র্যাম্প চালু আছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চট্টগ্রামের যানজটের সমস্যা কমানো, বিমানবন্দরের সঙ্গে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পের বারবার সময়সীমা বৃদ্ধি এবং ব্যয় বৃদ্ধি নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।