চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:১৩ এএম

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (IATA: CGP, ICAO: VGEG) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চট্টগ্রামের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। এটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর 'বিএএফ জহুরুল হক ঘাটি'র অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

ঐতিহাসিক পটভূমি:

১৯৪০-এর দশকে ব্রিটিশ শাসনামলে এটি একটি এয়ারফিল্ড হিসেবে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি 'চট্টগ্রাম এয়ারফিল্ড' নামে পরিচিত ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ৪র্থ কমব্যাট কার্গো গ্রুপ এটিকে সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে এটি বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক বিমানবন্দর হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হলেও ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়। ১৯৯৮ সালে একটি বৃহৎ সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয় যা ২০০০ সালে শেষ হয়। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এই প্রকল্পে অর্থ সাহায্য করেছিল।

নামকরণ:

প্রথমে 'এম এ হান্নান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর' নামে পরিচিত ছিল, আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এম. এ. হান্নানের নামানুসারে। পরবর্তীতে, ২০০৫ সালের ২ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার এটিকে ১৮ শতাব্দীর দরবেশ শাহ আমানতের নামে নামকরণ করে।

বর্তমান অবস্থা:

বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১.৫ মিলিয়ন যাত্রী এবং ৬ হাজার টন কার্গো পরিবহনের সক্ষমতা রাখে। এখানে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উভয় ধরণের ফ্লাইট পরিচালিত হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সহ বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এখানে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এছাড়াও, এটি আরিরাং ফ্লাইং স্কুলের ঘাটি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

অবস্থান:

চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা এলাকায়, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। জিইসি মোড় থেকে ২০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার দূরে।

আরও তথ্য:

বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ ইতিহাস, পরিসংখ্যান, উন্নয়ন পরিকল্পনা, ও আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর
  • চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত
  • বার্ষিক ১.৫ মিলিয়ন যাত্রী ও ৬ হাজার টন কার্গো পরিচালনার সক্ষমতা
  • ১৯৪০ এর দশকে নির্মিত
  • ২০০৫ সালে বর্তমান নামকরণ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।