গৌতম ঘোষ

গৌতম ঘোষ: বাংলা চলচ্চিত্রের এক অমূল্য সম্পদ

গৌতম ঘোষ (জন্ম: ২৪ জুলাই, ১৯৫০) একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, সংগীত পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক। বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম। চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ও একটি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে ভূষিত গৌতম ঘোষ, ১৯৯৭ সালে ইতালির 'ভিটোরিও দি সিকা' পুরষ্কার লাভকারী একমাত্র ভারতীয়। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে 'বাংগা বিভূষণ' সম্মানে ভূষিত করে। ২০০৬ সালে ইতালীয় সরকার তাঁকে 'স্টার অফ ইতালিয়ান সলিডারিটি' সম্মানে ভূষিত করে।

কলকাতার সেন্ট জন্স ডায়োসিসান স্কুল এবং ক্যাথিড্রাল মিশনারি বয়েজ স্কুলে শিক্ষা লাভের পর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তাঁর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের যাত্রা শুরু হয় 'নিউ আর্থ' চলচ্চিত্র দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি 'হাঙ্গরি অটাম' সহ আরও অনেক প্রামাণ্যচিত্র ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। আকিরা কুরোসাওয়া, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, রাজেন তরফদার, মৃণাল সেন, অজয় কার প্রভৃতি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজ তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

'অন্তর্জালী যাত্রা', 'পদ্মা নদীর মাঝি', 'আবার আরণ্যে', 'কালবেলা', 'শঙ্খচিল' এবং 'মনের মানুষ' - এইসব চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'বাইশে শ্রাবণ' চলচ্চিত্রে একজন কবির চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং চরিত্রের কবিতাও লিখেছেন। তার চলচ্চিত্রগুলি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসিত হয়েছে। গৌতম ঘোষ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল নাম হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • গৌতম ঘোষ একজন বিশিষ্ট বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা।
  • তিনি চারটি জাতীয় পুরস্কার ও একটি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার অর্জন করেছেন।
  • তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে 'পদ্মা নদীর মাঝি' ও 'মনের মানুষ' অন্যতম।
  • তিনি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণেও অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
  • সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'বাইশে শ্রাবণ' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

গণমাধ্যমে - গৌতম ঘোষ

১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮০ অবধি

চলচ্চিত্র পরিচালক রাজা মিত্র ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮০ অবধি গৌতম ঘোষের সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন।