বাংলা চলচ্চিত্র

বাংলা চলচ্চিত্র: একটি ঐতিহ্যের যাত্রা

বাংলা চলচ্চিত্র বাংলা ভাষাভাষীদের চিত্রকলার এক অমূল্য অংশ। এই শিল্পের ইতিহাস শুরু হয় ১৯১৩ সালে দাদাসাহেব ফালকে নির্মিত ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ চলচ্চিত্র দিয়ে। কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী যুগের সূচনা হয় ১৯৫০-এর দশক থেকে কলকাতা এবং পরবর্তীতে ১৯৫৬ সাল থেকে ঢাকায়। কলকাতায় সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন প্রমুখের অবদান অপরিসীম। ঢাকায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালী যুগ শুরু হয় ১৯৭০-এর দশকে। ‘জীবন থেকে নেওয়া’, ‘সারেং বৌ’, ‘ছুটির ঘন্টা’, ‘অনুভূতি’, ‘ভাত দে’, ‘মনপুরা’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র এই সময়ের উল্লেখযোগ্য। তারেক মাসুদ, চাষী নজরুল ইসলাম, গুটি জয়ন্তী প্রমুখ বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ঢাকায় নওয়াব পরিবারের তরুণ সংস্কৃতি সেবীরা ১৯২৭-২৮ সালে নির্মাণ করেন ‘সুকুমারী’ চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’। বাংলা চলচ্চিত্র কেবলমাত্র বিনোদনই নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, সমাজ এবং ইতিহাসের প্রতিফলন। আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন এই শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। তবে, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখি হলেও বাংলা চলচ্চিত্র নতুন নতুন প্রতিভা এবং কাহিনী নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯১৩ সালে ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ বাংলা চলচ্চিত্রের সূচনা
  • ১৯৫০-এর দশক কলকাতায় এবং ১৯৭০-এর দশক ঢাকায় সোনালী যুগ
  • সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তারেক মাসুদ- প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতা
  • ‘জীবন থেকে নেওয়া’, ‘সারেং বৌ’ - উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র
  • বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’