গার্মেন্ট শ্রমিক

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিমুখী শিল্প। এই শিল্পের সাফল্যের পেছনে লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমের অবদান অপরিসীম। তবে, দীর্ঘদিন ধরেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপত্তা, এবং মজুরি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্থা, তাদের আন্দোলন, এবং তাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করব।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন (এনজিডব্লিউএফ): এটি বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, ৮৭টি নিবন্ধিত কারখানা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এদের প্রধান কাজ হল গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়ন। ২০০২ সালে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় এনজিডব্লিউএফ। ২০০৫ ও ২০১২ সালে গার্মেন্টস কারখানার দুর্ঘটনার পর নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করে। এনজিডব্লিউএফ-এর ৪১,৩০৩ জন সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ২৩,৫২০ জন নারী।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিটি কাউন্সিল (বিজিডব্লিইউসি): ২১টি গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নিয়ে গঠিত এই জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রটি শ্রমিকদের মজুরি, বোনাস, এবং ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বারবার আন্দোলন করে। ২০০৬, ২০০৮, ২০১৩, এবং ২০১৮ সালে ঈদ বোনাস ও মজুরি পরিশোধের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করে। ১৯৯৪, ২০০৪, এবং ২০১০ সালে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করা হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (GWTUC): বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, যা ২০টিরও বেশি কারখানা ইউনিয়নের সাথে যুক্ত। এটি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত। GWTUC ২০০৯ সাল থেকে মজুরি বৃদ্ধি, কর্মস্থলের নিরাপত্তা, এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য বারবার আন্দোলন করে আসছে। ২০১০ সালে তাদের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালে তারা ঢাকার একটি কারখানায় অনশন করে। ২০২০ সালে ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করা হয়।

সাম্প্রতিক আন্দোলন: সাম্প্রতিক সময়ে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, বকেয়া বেতন পরিশোধ, এবং কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন করেছে। আন্দোলনের ফলে কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকার, মালিকপক্ষ, এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা আপনাকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আপডেট করব যখন আমাদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য আসবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত।
  • গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি, অধিকার ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু সমস্যা বিদ্যমান।
  • বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও সংগঠন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে।
  • সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে সমস্যা সমাধানের জন্য।
  • গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।