খন্দকার মাহবুব হোসেন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

খন্দকার মাহবুব হোসেন: একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদের জীবনকাহিনী

খন্দকার মাহবুব হোসেন (২০ মার্চ ১৯৩৮ - ৩১ ডিসেম্বর ২০২২) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যা তাঁর আইনজীবী জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ফৌজদারি আইনের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।

বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণকারী খন্দকার মাহবুব হোসেন নারায়ণগঞ্জ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ঢাকা নটরডেম কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং একই বছরের ২০ অক্টোবর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের মামলা পরিচালনা করেছেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সাথে যুক্ত হন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশগ্রহণের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালে পুলিশের কর্তব্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং গ্রেফতার হন। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।

২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনা সংক্রমণজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন ও রাজনীতি অঙ্গনে একজন অভিজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বের অভাব পূরণ করা কঠিন হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • খন্দকার মাহবুব হোসেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন।
  • তিনি ১৯৭৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন।
  • সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
  • বিএনপির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
  • ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
  • ২০২২ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।