বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মন্ত্রি পরিষদ, যা সাধারণত ক্যাবিনেট নামে পরিচিত। এটি দেশের শাসন ব্যবস্থার নির্বাহী শাখা এবং এর সদস্যরা সরকারের নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে। ক্যাবিনেটের গঠন, ক্ষমতা এবং কার্যক্রম বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন।
- *বাংলাদেশের ক্যাবিনেট:** বাংলাদেশে, ক্যাবিনেটের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ক্যাবিনেটে অন্যান্য মন্ত্রীরা থাকেন, যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি করেন। ক্যাবিনেটের সদস্যদের সংখ্যা এবং মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
- *ক্যাবিনেটের কাজ:** ক্যাবিনেটের প্রধান কাজ হল দেশের শাসন পরিচালনা। এটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নীতিমালা তৈরি করে এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ক্যাবিনেট সকল মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের তদারকি করে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে।
- *ক্যাবিনেট কমিটি:** জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য ক্যাবিনেটের অধীনে বিভিন্ন কমিটি থাকে। এই কমিটিগুলো মন্ত্রিসভা পর্যায়ে অথবা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত হয়। কিছু কমিটি স্থায়ী, আর কিছু অস্থায়ী। স্থায়ী কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থ বিষয়ক কেবিনেট কমিটি, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কেবিনেট কমিটি, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কেবিনেট কমিটি ইত্যাদি।
- *ভারতের ক্যাবিনেট মিশন:** দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ১৯৪৬ সালে, ব্রিটিশ সরকার ভারতে ক্যাবিনেট মিশন পাঠিয়েছিল ভারতের স্বাধীনতা সম্পর্কে আলোচনার জন্য। এই মিশনটি ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুপারিশ করেছিল, যা ভারতের বিভাজনের পথ প্রশস্ত করে। এই মিশনের প্রধান সদস্য ছিলেন স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস, এ.ভি. অ্যালেক্সান্ডার, এবং পেথিক লরেন্স।
- *উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:** ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ড. শেখ আব্দুর রশীদ, নরেন্দ্র মোদী (ভারতের প্রধানমন্ত্রী), রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, এস জয়শঙ্কর, ক্লিমেন্ট অ্যাটলি (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী), স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস, এ.ভি. অ্যালেক্সান্ডার, পেথিক লরেন্স।