ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১১ এএম

ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন: চট্টগ্রামের বাচিক শিল্পের এক অমূল্য সম্পদ

১৯৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি, চট্টগ্রামে আবৃত্তি শিল্পের উন্নয়নে নিবেদিত এক সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। নাম- ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন। মোসতাক খন্দকারের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি গত ৩৯ বছর ধরে বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তির প্রতি অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছে।

ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন কেবল আবৃত্তি শিল্পে নিবেদিত নয়, তারা শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক দুটোতেই শিক্ষা দান করে। নিয়মিত কর্মশালা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, প্রকাশনা প্রকাশের মাধ্যমে তারা আবৃত্তি শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখছে। ৩৯ বছরে তারা চার হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সংগঠনটি ৭৬টি শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি কর্মশালা, ২৬টি নামকরণ আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ৬৭টি বৃন্দ আবৃত্তি এবং ৭৯টি অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শিল্পীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৭টি একক আবৃত্তি এবং ৩টি আবৃত্তি বিষয়ক সেমিনারের আয়োজনও করেছে।

ক্বণনের ২০, ২৫, ৩০ বছর এবং তিন যুগ অতিক্রমণ উপলক্ষে ৪টি আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করা হয়। রজত জয়ন্তী উৎসবে ‘ক্বণন-কাজী সব্যসাচী-এ কে খান’ আবৃত্তি পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।

বিভিন্ন জাতীয় দিবস, যেমন বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ক্বণন নিয়মিত আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এই অনুষ্ঠানগুলিতে ক্বণনের সদস্যদের সাথে সাথে আমন্ত্রিত বিখ্যাত শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেন।

ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২৫ সালের ৩রা জানুয়ারি চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত তথ্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত
  • বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তির উপর জোর
  • চার হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ
  • নিয়মিত কর্মশালা, প্রতিযোগিতা ও প্রকাশনা
  • জাতীয় দিবস উপলক্ষে আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।