কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: চিকিৎসা ও শিক্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ
বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের জনগণের জন্য আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষ চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ২৮শে নভেম্বর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। ১৯৮১-৮২ শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে এমবিবিএস কোর্স শুরু হয়। পরবর্তীতে সরকারি সিদ্ধান্তক্রমে কলেজের কার্যক্রম স্থগিত হলেও, অধিগ্রহণকৃত জমিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ১৯৯২ সালের ১১ই জানুয়ারী হাসপাতালটি চালু হয়। কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিকে 'কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল' নামকরণ করা হয়। ২০০৮ সালের ২৪শে জুলাই পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়। বর্তমানে ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি সেবা ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণার্থীরাও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র।
- এমবিবিএস ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য অগ্রণী প্রতিষ্ঠান।
- আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপস্থিতি।
- দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি।
- অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন।
অবস্থান: কুচাইটোলি, ডা. আক্তার হামিদ খান রোড, কুমিল্লা ৩৫০০।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি: জিয়াউর রহমান (প্রতিষ্ঠাতা), ডা. হাবিবুর রহমান আনছারী (প্রথম অধ্যক্ষ)।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান: চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
ট্যাগ: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা, মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
স্পষ্টীকরণ ট্যাগ: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমিল্লা)
মেটা বিবরণ: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের জন্য একটি অগ্রণী চিকিৎসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে আধুনিক চিকিৎসা সেবা ও এমবিবিএসসহ স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রদান করা হয়।