কিথ কেলগ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী?
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিশেষ দূত হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগকে মনোনয়ন করেন। এই ঘোষণা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগের ইঙ্গিত বহন করে।
কেলগের দীর্ঘ সামরিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে কঠোর আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছেন। কেলগের পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানকে উৎসাহিত করার প্রস্তাব রয়েছে। তিনি 'আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউট' নামক একটি ট্রাম্পপন্থী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত গবেষণা পত্রে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন। এই প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য আরও মার্কিন সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
কেলগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে শুধুমাত্র তখনই অতিরিক্ত সাহায্য প্রদান করবে, যদি তারা রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনায় বসে। অন্যদিকে, যদি মস্কো আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে ওয়াশিংটন কিয়েভকে আরও বেশি সাহায্য প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। তিনি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদকে দীর্ঘমেয়াদে স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, যা রাশিয়াকে আলোচনায় রাজি করাতে সহায়ক হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
কেলগ জানুয়ারির শুরুতে কিয়েভ এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ সফর করার পরিকল্পনা করেছেন, যুদ্ধের সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে। এই সফরের মাধ্যমে তিনি আগামী ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করবেন।
তবে কিথ কেলগের এই পরিকল্পনা এবং ট্রাম্পের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য তা এখনও অনিশ্চিত। ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়াও অপেক্ষার বিষয়। সামনে দিনগুলিতে এ ব্যাপারে আরও স্পষ্টতা আশা করা যায়।