বাংলাদেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনে কার্যকর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ, শুল্ক আদায়, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে। এনবিআর বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) প্রধান অঙ্গ। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দেশের বিভিন্ন বন্দর, বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে অবস্থিত কাস্টমস স্টেশন এবং কার্যালয়ের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যক্রমগুলির মধ্যে রয়েছে:
- শুল্ক আদায়: আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যের উপর প্রযোজ্য শুল্ক ও কর আদায় করা।
- চোরাচালান প্রতিরোধ: চোরাচালান ও অবৈধ পণ্যের প্রবেশ ও বহির্গমন রোধ করা।
- সীমান্ত নিরাপত্তা: দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা।
- বাণিজ্য সুবিধা: বৈধ বাণিজ্যের সুবিধার্থে সহায়তা প্রদান করা।
- আইন প্রয়োগ: সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগ করা।
- তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ: বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে সরকারকে সহায়তা প্রদান করা।
ঢাকা কাস্টমস হাউস বাংলাদেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর কাস্টমস স্টেশন। এটি ঢাকা শহরের উত্তর অংশ কুর্মিটোলায় অবস্থিত। এছাড়াও, চট্টগ্রাম, মংলা, বেনাপোল, পংগাঁও, এবং আইসিডি কমলাপুরে গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমস স্টেশন রয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ করে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা শুল্ক প্রশাসন, পণ্য পরিদর্শন, আইন প্রয়োগ, তদন্ত এবং তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
২০২৩ সালে নতুন কাস্টমস আইন কার্যকর হয়, যার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার দৈনিক বিনিময় হার স্বীকৃতি, শুল্ক মূল্যায়ন এবং লেনদেনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, এবং পণ্য খালাসে বিলম্বের জন্য পেনাল্টির বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) এর Trade Facilitation Agreement এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।