কামাল মিয়া: দুটি হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে
এই প্রতিবেদনে দুজন ভিন্ন কামাল মিয়ার কথা উঠে এসেছে। প্রথম কামাল মিয়া একজন রিকশাচালক যিনি ১৯ জুলাই পল্টনের ভিআইপি রোড মোড়ে কোটা আন্দোলনের ঘটনার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। দ্বিতীয় কামাল মিয়া (৩৫) নরসিংদীর মনোহরদীতে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা যান। দুটি ঘটনাই সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই।
প্রথম কামাল মিয়া (রিকশাচালক):
১৯ জুলাই, পল্টনের ভিআইপি রোড মোড়ে কোটা আন্দোলনের সময় এই রিকশাচালক কামাল মিয়া (৩৯ বছর বয়সী) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। তদন্তকারীরা দাবি করেন, এই তিনজনের নির্দেশেই অন্যরা অপরাধটি সংঘটিত করে। কামাল মিয়ার মৃত্যু কোটা আন্দোলনের সাথে জড়িত বলে উল্লেখযোগ্য। ঘটনার সময় তিনি ভিআইপি রোড মোড়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় কামাল মিয়া (নরসিংদী):
নরসিংদীর মনোহরদীতে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় কামাল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে। তাকে মহিষাকান্দি গ্রামে গাছের সাথে বেঁধে রাতভর পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার সাথে চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মো. ইসহাক (৩৫), তোতা মিয়ার ছেলে মো. হারুন অর রশিদ (৪২) এবং মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোসাদ্দেক মিয়া (৩২) জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। হত্যাকারীরা কামাল মিয়ার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চেয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় মো. হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমরা আরও তথ্য পেলে এই প্রতিবেদন আপডেট করবো।