কামারখন্দ উপজেলা: সিরাজগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা, যা ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সমৃদ্ধ। উত্তরে সিরাজগঞ্জ সদর ও রায়গঞ্জ, দক্ষিণে বেলকুচি, পূর্বে বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর এবং পশ্চিমে উল্লাপাড়া উপজেলায় ঘেরা এই উপজেলা ৯১.৬১ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। প্রায় ১৩৮,৬৪৫ জনসংখ্যা নিয়ে, কামারখন্দে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৬৮,৪১১ এবং মহিলার সংখ্যা ৭০,২৩৪। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে বসবাস করে। কৃষি এই উপজেলার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি; ধান, গম, পাট, আখ, সরিষা ও বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদিত হয়। তাছাড়াও তাঁতশিল্প, বাঁশের কাজ, মৃৎশিল্প ইত্যাদি কুটিরশিল্প এখানে বেশ জনপ্রিয়। কামারখন্দ থানা গঠিত হয় ১৯০৯ সালে এবং ১৯৮৩ সালে তা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে ভদ্রঘাটের কালীবাড়িতে গঠিত পলাশডাঙ্গা যুবশিবির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। হুরাসাগর ও করোতোয়া নদী এবং নান্দিনা মধুর বিল এ উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উল্লেখযোগ্য দিক। ৭টি কলেজ, ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জামতৈল, কামারখন্দ, ভদ্রঘাট, বড়ধুল এবং বলরামপুর হাট এখানকার উল্লেখযোগ্য বাজার। এই উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন এনজিও, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী।
কামারখন্দ উপজেলা
মূল তথ্যাবলী:
- কামারখন্দ উপজেলা সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত
- ৯১.৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন
- প্রায় ১৩৮,৬৪৫ জনসংখ্যা
- কৃষি প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি
- ১৯০৯ সালে থানা, ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তর
- মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন