কাজী সহিদুল ইসলাম

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ এএম

কাজী সহিদুল ইসলাম নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। একজন স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অপরজন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সহিদুল ইসলাম:

এই কাজী সহিদুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি 'লালু' নামেও পরিচিত ছিলেন। তার জন্ম টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সূতী পলাশ গ্রামে। তার বাবার নাম হেলাল উদ্দিন এবং মায়ের নাম সুধামণি। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি কাদেরিয়া বাহিনীর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং গোপালপুর থানায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার বীরত্বের জন্য তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়। তিনি বাংলাদেশের বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ২৫ মে ২০০৯ সালে ঢাকার মিরপুরে মারা যান এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হন।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদুল ইসলাম পাপুল:

এই কাজী সহিদুল ইসলাম, 'পাপুল' নামে পরিচিত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করা হয়। অর্থ ও মানব পাচার এবং ঘুষ প্রদানের অভিযোগে ২০২০ সালের জুন মাসে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন এবং চার বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন। তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সহিদুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
  • তিনি বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন এবং সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
  • সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদুল ইসলাম পাপুল অর্থ পাচার ও ঘুষের অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন।
  • তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কাজী সহিদুল ইসলাম

চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন।