কমলনগর: লক্ষ্মীপুরের একটি সমৃদ্ধ উপজেলা
বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা হলো কমলনগর উপজেলা। ৩১৪.৮৬ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২০০৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্বারা উদ্বোধন করা হয়। কমলনগরের উত্তরে লক্ষ্মীপুর সদর, দক্ষিণে রামগতি, পূর্বে নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচর, এবং পশ্চিমে দৌলতখান উপজেলা অবস্থিত। মেঘনা নদী এই উপজেলার প্রধান জলাশয়।
জনসংখ্যা ও জনগোষ্ঠী: ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, কমলনগরের জনসংখ্যা ২২২৯১৫; পুরুষ ১১১২৪৫ এবং মহিলা ১১১৬৭০। জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম (২১৯০৫৪), ছোট অংশ হিন্দু (৩৮৫৩), খ্রিস্টান (৪), বৌদ্ধ (১) এবং অন্যান্য (৩)।
ঐতিহাসিক ঘটনা: মুক্তিযুদ্ধের সময় কমলনগরের মুক্তিযোদ্ধারা রামগতি থানা, জমিদারহাট, এবং হাজীরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে অপারেশন পরিচালনা করে। জমিদারহাট অপারেশনে ২৩ জন রাজাকার নিহত হয়। ১৯৫৭ সালে বসন্ত ও কলেরা এবং ১৯৭০ সালে প্লাবনের ফলে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।
অর্থনীতি: কৃষি কমলনগরের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ধান, বাদাম, এবং সরিষা এখানকার প্রধান কৃষি ফসল। ইলিশ মাছ এখানকার প্রধান রপ্তানিদ্রব্য। মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প এবং বাঁশের কাজ এখানকার উল্লেখযোগ্য কুটিরশিল্প। লুধুয়া বাজার, হাজীর হাট, চর লরেন্স বাজার এবং তোরাবগঞ্জ হাট এখানকার উল্লেখযোগ্য হাটবাজার।
শিক্ষা: কমলনগরের গড় শিক্ষার হার ৩০.৭%; পুরুষ ৩২.২% এবং মহিলা ২৯.৩%। চর জাংগালিয়া এস সি হাইস্কুল (১৯৩২), চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৮), তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯২), হাজীর হাট মিল্লাত একাডেমি (১৯৫৮), এবং হাজীর হাট হামিদিয়া ফাজিল মা্দ্রাসা (১৯৫০) এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
যোগাযোগ: উপজেলায় ৬২ কিমি পাকারাস্তা, ১২ কিমি আধ-পাকারাস্তা, ২৪ কিমি কাঁচারাস্তা এবং ২৪.৭১ কিমি নৌপথ রয়েছে।
স্বাস্থ্য: কমলনগরে ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য স্থান: মোহাম্মদ হাওলাদার মসজিদ (১৯১৫), তোরাবগঞ্জ জামে মসজিদ (১৯৬০), এবং হাজীর হাট জামে মসজিদ ও করুণানগর সত্য গোপাল মন্দির উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
অতিরিক্ত তথ্য: এই প্রতিবেদনে উপস্থাপিত তথ্য সম্পূর্ণ নয়। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংগ্রহ করে এই লেখাটি সম্পূর্ণ করব।