কবির আহম্মদ

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২:০৩ এএম

বীর প্রতীক কবির আহম্মদ: স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অসামান্য নায়ক

১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণকারী কবির আহম্মদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার অসাধারণ বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মোবারকঘোনা গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি। তার বাবার নাম বদিউর রহমান এবং মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন। তার স্ত্রীর নাম বিবি ফাতেমা এবং তাদের এক মেয়ে এবং তিন ছেলে রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে কবির আহম্মদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ ইউনিটে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের ক্যাম্বেলপুরে কর্মরত ছিলেন। ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথমার্ধে তিন মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এপ্রিল মাসে ভারতে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। হরিণা ক্যাম্পে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমার্ধে মুক্তিবাহিনীর গোলন্দাজ দলে অন্তর্ভুক্ত হন।

মুক্তিযুদ্ধের সময়, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনীর নিজস্ব গোলন্দাজ বাহিনী ছিল না। ভারত মুক্তিবাহিনীকে ৩.৭ ইঞ্চি প্যাক হাউইটজার প্রদান করে, যার মাধ্যমে মুক্তিবাহিনীর ‘কে’ ফোর্সের জন্য মুজিব (বা ১ ফিল্ড) ব্যাটারি গঠন করা হয়। কবির আহম্মদ এই ব্যাটারিতে অন্তর্ভুক্ত হন এবং একটি কামান পরিচালনার দায়িত্ব পান।

মুজিব ব্যাটারি অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি প্রথম যুদ্ধে অংশ নেয়। ১৪ অক্টোবর, সালদা নদীর বায়েক এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে মুজিব ব্যাটারির কামান দিয়ে তীব্র গোলাবর্ষণ করা হয়। কবির আহম্মদ তার নেতৃত্বে পরিচালিত কামান দিয়ে নিখুঁত নিশানায় গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তিন স্তরের বাংকার ধ্বংস করেন এবং অসংখ্য সেনাকে নিহত ও আহত করেন। এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাব অর্জন করেন।

কবির আহম্মদের জীবনী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • কবির আহম্মদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
  • তিনি বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেছেন।
  • চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মোবারকঘোনা গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি।
  • তিনি মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
  • সালদা নদীর বায়েক এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেঙে ফেলায় তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।