বাংলাদেশের আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মাসুদ বিশ্বাস। তিনি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর সাবেক প্রধান। ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনি এই পদে নিয়োগ পান এবং দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের তদন্তে জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়াও, তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকার ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মাসুদ বিশ্বাসের নামে জমি ও ফ্ল্যাট থাকার তথ্যও তদন্তে উঠে আসে।
অভিযোগগুলিতে বলা হয় যে, মাসুদ বিশ্বাস স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ কেনায় সন্দেহজনক অনিয়ম, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ, হিমিদ্রী লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ, তানাকা গ্রুপ, এসএ গ্রুপ ও আনোয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এর অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া, এস আলম গ্রুপ, থার্মেক্স গ্রুপ এবং জিনাত এন্টারপ্রাইজের অর্থ পাচারের মামলা ধামাচাপা দিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করার মতো অভিযোগ রয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দুদক মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করে। তিনি বর্তমানে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছেন। মাসুদ বিশ্বাসের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নেই। এই বিষয়ে আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করে জানাব।