এস এম তানভীর আরাফাত

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:১৯ পিএম

এস এম তানভীর আরাফাত নামে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ পাওয়া গেলেও, প্রদত্ত টেক্সট অনুযায়ী, এখানে কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতের কথা বলা হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজির দপ্তরে উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়।

২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপি কর্মী সুজন মালিথাকে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার ঘটনায় তানভীর আরাফাত প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হন। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সালে এই ঘটনার সাথে জড়িত ১৫ জনসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, তাকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজির করা হয় এবং তার জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই হত্যা মামলার সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, দৌলতপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান টোকন চৌধুরী, কুষ্টিয়া মডেল থানার সাবেক ওসি নাসির উদ্দিন এবং সাবেক ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান।

তানভীর আরাফাত কুষ্টিয়ায় কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন বিতর্কিত ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাকে 'তিন অপশন' বক্তব্যের জন্যও সমালোচিত করা হয়। এছাড়া, ভোট কারচুপি নিয়ে এক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে তাকে উচ্চ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল।

সুজন মালিথার হত্যার ঘটনা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামে ঘটে। হত্যার পর সুজনের মৃতদেহ মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব ক্যানালের পাড়ে পাওয়া যায়। বাদী ছিলেন সুজনের 'রাজনৈতিক বড় ভাই' সুজন হোসেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের মিললাইন এলাকার লালন শাহ সড়কের বাসিন্দা।

মূল তথ্যাবলী:

  • কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বিএনপি কর্মী সুজন মালিথার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত।
  • ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
  • তিনি বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
  • মামলায় আরও ১৫ জনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন আসামি রয়েছে।
  • ঘটনাটি ঘটেছিল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামে, মৃতদেহ পাওয়া যায় মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব ক্যানালের পাড়ে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - এস এম তানভীর আরাফাত

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সুজন মালিথার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ৬:০০ এএম

এস এম তানভীর আরাফাত কুষ্টিয়ায় ২০১৯ সালে সুজন মালিথার হত্যা মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছেন।