টাকিমারা গ্রাম

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম

টাকিমারা গ্রাম: একটি দুঃখের গল্প

কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের অন্তর্গত টাকিমারা গ্রাম সম্প্রতি একটি দুঃখজনক ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ৯০ বছর বয়সী চায়না বেগম, যিনি তার স্বামী মৃত গাজী উদ্দিন ফকিরের অনুসারী মহাত্মা লালন শাহের ভক্ত ছিলেন, তার স্বামীর কবরের পাশে নির্মিত তার ঘর ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় এই গ্রামের নাম আলোচনায় এসেছে।

চায়না বেগমের দাবি, তার স্বামী জীবিত থাকাকালীন তাকে কবরের পাশেই থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই ইচ্ছা পূরণের জন্য তিনি স্বামীর কবরের পাশে একটি ছোট ঘর তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এলাকার কিছু লোকজন, এনামুল হক, মোশারফ হোসেন, আনার মণ্ডল ও সাইদুল হাজির সহ ৪৫-৫০ জন, তার ঘরটি ভেঙে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, একটি নতুন বাড়ি নির্মাণকারী একজন হুজুর তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এই ভাঙচুরের প্রতিবাদ করার সময়। এই ঘটনায় চায়না বেগম কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

চায়না বেগমের বোন জামাই, সাধু শাহাবুদ্দিন সাবু, এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন এবং বিচারের দাবি করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, সাধু সমাজ কি নিজের জমিতেও আর থাকতে পারবে না? কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনার তদন্ত করছেন এবং সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করছেন।

টাকিমারা গ্রামের এই ঘটনাটি সমাজে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে ধরেছে। গ্রামের অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রদত্ত লেখাটিতে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, এই দুঃখজনক ঘটনা গ্রামটির সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলবে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নে অবস্থিত টাকিমারা গ্রাম।
  • ৯০ বছর বয়সী চায়না বেগমের ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
  • স্বামীর কবরের পাশে ঘর তৈরির ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
  • এলাকার ৪৫-৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
  • ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - টাকিমারা গ্রাম

২০১৯-০৯-১৩

সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।