হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ: বাংলাদেশের রাজনীতির এক অবিস্মরণীয় নাম। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিনহাটা শহরে জন্মগ্রহণ করেন এই সামরিক অভ্যুত্থানকারী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে পাকিস্তানে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৭৮ সালে সেনাপ্রধান হন। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন এবং দেশে সামরিক শাসন জারি করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ সালে জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হন। দুর্নীতির অভিযোগে তাকে কারাদণ্ডও হয়। তবে পরবর্তীতে কারাগার থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি রাজনীতিতে ফিরে আসেন এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৪ জুলাই ২০১৯ সালে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার রাজনৈতিক জীবন নানা বিতর্ক ও আলোচনায় পরিপূর্ণ ছিল। তিনি উপজেলা প্রশাসন চালু, ঔষধ নীতি প্রণয়ন, এবং রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার মতো উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। এরশাদ মিয়া নামে পরিচিত হলেও, অনেকের কাছে তিনি জেনারেল এরশাদ নামেই অধিক পরিচিত।
এরশাদ মিয়া
আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০-তে ভারতের দিনহাটায় জন্ম।
- ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান।
- ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল।
- ১৯৮৩-১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
- জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।
- দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড।
- ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত।
- ১৪ জুলাই ২০১৯ সালে মৃত্যু।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - এরশাদ মিয়া
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
এরশাদ মিয়া তার ছেলে শফিউল্লাহর হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
এরশাদ মিয়া হত্যাকান্ডের বিচার চাচ্ছেন।