এমডি বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (Managing Director) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) শব্দ দুটি প্রায়শই পরস্পরের সাথে জড়িত হলেও, তাদের অর্থ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য আছে। একটি সংগঠনের এমডি সাধারণত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা, কর্মীদের তত্ত্বাবধান এবং সংগঠনের কৌশলগত দিক নির্ধারণে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, CEO সংস্থার সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্তা, যার দায়িত্ব সংস্থার সামগ্রিক কৌশল, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি ও বজায় রাখা।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে "এমডি" শব্দটি প্রধানত রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বোঝায়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে এমডি নিয়োগ ও তাদের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। এই নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার প্রয়োজনীয়তা (কমপক্ষে ২০ বছর), বয়সসীমা (৪৫-৬৫ বছর), নিয়োগের মেয়াদ (সর্বোচ্চ ৩ বছর), এবং চাকুরীর নিরাপত্তা ও সুবিধা-অসুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্ত। ব্যাংকের পরিচালকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকা বা পরিবারের সদস্য হওয়া নিষিদ্ধ।
২০২৪ সালের শেষভাগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ টি ব্যাংকের নতুন এমডি নিয়োগের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। এই ঘটনায় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ব্যাংকে পূর্ববর্তী এমডিদের অপসারণের পর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে, মেডিকেল ক্ষেত্রে এমডি বোঝায় ডক্টর অব মেডিসিন (Doctor of Medicine), যা একটি মেডিক্যাল ডিগ্রী। এই ডিগ্রি সাধারণত মেডিকেল স্কুল সম্পন্ন করে অর্জন করা হয় এবং চিকিৎসা পেশায় কর্মরত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। এই ডিগ্রি পিএইচডি (Doctor of Philosophy) এর সাথে মিলিয়ে MD-PhD দ্বৈত ডিগ্রি প্রোগ্রাম হিসেবেও দেওয়া হয়, যা চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষায়িত শিক্ষা প্রদান করে। Case Western Reserve University School of Medicine এই দ্বৈত ডিগ্রি প্রোগ্রামের প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি একজন ব্যক্তি একই সাথে এমডি এবং পিএইচডি ডিগ্রি পৃথকভাবেও লাভ করতে পারেন।