লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কর্পসে কমিশন লাভ করেন। তার দীর্ঘ সামরিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার, দুটি আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি), মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডিন্যান্স, এবং সামরিক সচিব। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি) এর মহাপরিচালক ছিলেন। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর তিনি সেনাবাহিনীর গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন। তিনি বাংলাদেশ সামরিক একাডেমীর প্রশিক্ষক ছিলেন এবং ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডে গ্রুপ টেস্টিং অফিসার (জিটিও) হিসেবে কাজ করেছেন। তার সামরিক কর্মজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক ও স্টাফ হিসেবে তিনটি ভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে কাজ করা। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজ এবং ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের স্নাতক। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয় এবং ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, তিনি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সাথে সংঘর্ষের সময় বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রধান ছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে, তিনি দুই সন্তানের জনক (এক ছেলে ও এক মেয়ে)। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজু, ছেলের নাম ড. রিসাদ চৌধুরী রবিন এবং মেয়ের নাম রাসনা চৌধুরী লিজ। চাকরির কারণে তিনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।