জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী: বাংলাদেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত তিন তারকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং সামরিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কর্পসে যোগদানের মাধ্যমে তার সামরিক জীবন শুরু হয়। তার দীর্ঘ সামরিক ক্যারিয়ারে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে কমান্ডিং টু আর্টিলারি ব্রিগেডস, ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি)-এর প্রধান। ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সাথে সংঘর্ষকালে তিনি বিজিবির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৭ সালের জরুরী অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে অনুরোধ করার কৃতিত্বও তার। তিনি বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক ও স্টাফ হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সামরিক জীবন ও নেতৃত্বের গুণাবলী বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
মূল তথ্যাবলী:
- জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একজন অবসরপ্রাপ্ত তিন তারকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল।
- তিনি বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রধান ছিলেন।
- ২০০৭ সালের জরুরী অবস্থার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
- বিডিআর বিদ্রোহের তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
- বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা।
গণমাধ্যমে - জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠনে ভূমিকা পালন করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহ তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন এবং শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের সাথে যোগাযোগের কথা জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহ তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।